লিখন: বিজিৎ প্রশান্থা
"We must at present do our best to form a class who may be interpreters between us and the millions whom we govern; a class of persons, Indian in blood and colour, but English in taste, in opinions, in morals, and in intellect..." - Thomas Macaulay, Minute Upon Indian Education
একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বময় কর্মকান্ডে আমাদের অর্থাৎ ভারতবাসীদের অংশদারিত্ব বাড়ার সাথে সাথে আমরা প্রতিনিয়ত কয়েকটি মৌলিক এবং কয়েকটি বেশ অস্বস্তিকর জাতীয় প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি. আমরা কারা? আমাদের জাতিগত পরিচয় কী? ভারতীয়তার অর্থ কী? ধর্মগত পরিচয়গুলির প্রেক্ষিতে ভারতীয়তার স্থান কোথায়?
বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, এই প্রশ্নগুলিই আজকের ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ন্যারাটিভগুলি স্থির করে দিচ্ছে। দুর্ভাগ্যের ব্যাপার এই যে, এই প্রশ্নগুলির উত্তর বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই জাতীয় আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ দ্বারা স্থির হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। আর যাই হোক, একটি দেশের আইডেন্টিটি সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করতে না পারলে সেই আইডেন্টিটি রক্ষা ও প্রতিপালনের স্বার্থে জাতীয় আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ঠিকঠাক তৈরী করতে পারা যায় না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তৎকালীন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতাদের নির্বুদ্ধিতা, ক্ষমতা-লোভ এবং অদূরদর্শিতার কারণে ভারতবর্ষের মানুষ এই প্রশ্নগুলির যথাযথ এবং সম্মিলনকামী উত্তর নিয়ে আজও বিবাদমান।
এই প্রশ্নগুলি নিয়ে সেসময় কেউ ভাবেননি বা তীক্ষ্ণবুদ্ধি দিয়ে কেউ উত্তর খুঁজে যাননি, এটা বলা কিন্তু ভুল হবে। ভেবেছিলেন অগ্নিতাপস শ্রী অরবিন্দ, বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত, অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্য, দেবব্রত বসু, বিপিনচন্দ্র পাল প্রমুখ। এবং তাঁদের ভাবনা তাঁরা লিপিবদ্ধ করে গেছেন 'যুগান্তর', 'বন্দেমাতরম', 'নিউ ইন্ডিয়া' ইত্যাদি পত্রিকা এবং শতসহস্র প্রবন্ধগুচ্ছে। ওই ১৯০৭-০৮ এর দিকে। বস্তুত, শ্রী অরবিন্দের জীবনের একটা বিশাল বড় অধ্যায় (১৮৯৩-১৯১০) এই প্রশ্নগুলির জবাব খুঁজতে এবং সেই ব্যাখ্যা এবং জবাবগুলি দিয়ে বাংলার বিপ্লবীদের উদ্বুদ্ধ করতে কেটে গিয়েছিল। আজকাল আমরা যে হিন্দুত্ববাদী আইকনদের সাথে সাথে প্যান-ইন্ডিয়ান আইকনও খুঁজছি তার প্রমাণ পাওয়া যায় এই নব-হিন্দুত্ব আন্দোলনে হিন্দুদের মুখে বারংবার অরবিন্দ ঘোষের প্রাসঙ্গিক অবতারণা ও উল্লেখ দেখে।
১৮৩৫ সালে English Education Act যখন পাস করানো হয়, তখন এর উদ্দেশ্য ছিল যে ব্রিটিশ কলোনী-গুলিতে এক শ্রেণীর 'শিক্ষিত' শ্রেণী তৈরী করা যারা নিজেদের সংস্কৃতি-কে ঘৃণা করবে, যা কিছু ইউরোপিয়ান তার অন্ধ সমর্থক হবে এবং ব্রিটিশ প্রভুত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব সারা ভারতবর্ষে প্রচার করবে। Macaulay নামক শয়তানটির এব্যাপারে সাংস্কৃতিক ঔদ্ধত্য তাঁর নিম্নোক্ত উদ্ধৃতিটি থেকে বোঝা যায়:
"I have never found one among them who could deny that a single shelf of a good European library was worth the whole native literature of India and Arabia... when we pass from works of imagination to works in which facts are recorded, and general principles investigated, the superiority of the Europeans becomes absolutely immeasurable."
এই উক্তিটি, বিজ্ঞান হোক বা কলা, কোনোক্ষেত্রেই সত্যি নয় তা বলাই বাহুল্য। পাঠকরা এব্যাপারে তর্ক করতে চাইলে আমি রাজি আছি।
সে যাই হোক, এই Macaulayism ধীরে ধীরে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার এত গভীরে চলে গেছে যে আমরা চাইলেও এটা সম্পূর্ণ উৎপাটন করতে এক-দুটো প্রজন্ম লাগবে। এবং এই Macaulayism এমন একটি ক্লাস তৈরী করেছে, যারা মাতৃভাষায় দক্ষ নয়, মাতৃভাষায় লিখতে পড়তেও পারে না, তবে ইংরেজিতে চোস্ত। এই শ্রেণীটি পাশ্চাত্য সভ্যতার সব কিছুকেই অপার শ্রদ্ধার সাথে দেখে এবং গুনাগুন, কনটেক্সট, ইতিহাস বিচার না করেই পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণে ব্যস্ত থাকে। এই শ্রেণীটি টিভি-তে, রেডিও-তে, ইউটুবে তর্ক-বিতর্কে অংশ নেয় এবং নিজ-আইডেন্টিটি, নিজ-সংস্কৃতি, নিজ-ঐতিহ্যের টুইস্টেড, অর্থহীন সমালোচনা করতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হয় না। এই শ্রেণীটির কয়েকটি মূল লক্ষণ আমি নিচে লিপিবদ্ধ করছি:
১. ভয়/সংকোচ: কে কী ভাববে তা নিয়ে এঁরা সতত দুশ্চিন্তায় থাকেন। politically অত্যন্ত কারেক্ট।
২. কম আত্মপ্রত্যয়: প্রচুর পড়াশুনো করেও এঁরা তর্কবিতর্কের ঠিক লাইনটা যেন কোনোদিন খুঁজে পায়!
৩. নিজের মতামত সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করার পরিবর্তে যখন-তখন ট্যাঁকে গুঁজে রাখা গুচ্ছের কিছু মনীষী থেকে বৈপ্লবিক quote আওড়ে দেয়।
৩. নিজ-সংস্কৃতির তুখোড় সমালোচক: এরা ভাবে এটা করে বেশি পয়েন্ট পাওয়া যায় (পয়েন্টগুলো কে দেয়, ভগবান জানে!)
৪. তর্কের সময় ধর্ম, স্পিরিচুয়ালিটি, বিজ্ঞান, মার্ক্সবাদ সব একেবারে ঘেঁটে ফেলে। (Macaulayism-এর স্থূলবুদ্ধি দিয়ে অবশ্য এই টপিকগুলির সূক্ষ্মতা বা সম্বন্ধ কিছুই ঠিকভাবে বোঝা যায় না)।
৫. হতোদ্যম: এঁরা কিন্তু আসলে ভীষণ অলস এবং বেশির ভাগ সময় কথা বেচে খায়। সুপারনোভা বিস্ফোরণ হোক বা তিমিমাছের প্রজনন, টিভিতে লাইভ ডিবেটে এরা মতামত রাখতে অত্যন্ত তৎপর।
৬. রাজনৈতিক ভিক্ষাবৃত্তি (political mendicancy): সেহেতু এদের কোনো শক্ত বিশ্বাস নেই, তাই এরা random রাজনৈতিক শক্তির কাছে ছোট ছোট কারণে ফেভার চাইতে পিছপা হয় না।
যাই হোক, ব্যক্তি-সমালোচনা করা এই প্রবন্ধটিতে আমার মূল লক্ষ্য নয়। হাজার হোক, ম্যাকৌলে-পুত্রদেরও নিজস্ব ওপিনিয়ন আছে এবং ভারতীয় সংবিধান সেই ওপিনিয়ন মুক্ত-কণ্ঠে ব্যক্ত করার অধিকার সব্বাইকে দেয়।
সমস্যাটা আসলে অন্য জায়গায়। এই শ্রেণীটির দেশপ্রেম শূন্য বা ঋনাত্মক হওয়া সত্ত্বেও এঁরা আপাতভাবে ভারতবর্ষের 'শিক্ষিত' শাসক, এবং বুদ্ধিজীবী শ্রেণীকে রিপ্রেসেন্ট করে. ফলস্বরূপ, দেশের সংকটের মুহূর্তগুলিতে এদের সঠিক এবং সাহসী নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তরে দরকার পড়লেও এদের গলা থেকে 'দেশের জন্য জান দিয়ে দিতে পারি'-জাতীয় স্লোগান বা মানসিকতা কখনোই প্রতিধ্বনিত হয় না.
এই ম্যাকৌলে-পুত্ররাই ১৯৪৬-এর শেষ দিকে নিজেদের নির্বুদ্ধিতা, দুষ্টুবুদ্ধি, কাপুরুষতা, লো সেলফ-এস্টিমের কারণে ভারত ভেঙেছিল এবং এই ম্যাকৌলে-পুত্ররাই দেশবাসীকে রক্ষা করার বদলে ভয়ঙ্কর দাঙ্গার দিকে দেশবাসীকে ঠেলে দিয়েছিল।
যখন মুসলিম লীগ এবং জিন্নাহ ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে-তে ঘোষনা করে ফেলেছে, "we shall have either a divided India or a destroyed India", তখন এই Macaulay-র অবৈধ সন্তান কংগ্রেসি-রা মিটিংগুলিতে কিভাবে টাইম পাস করছিলেন, তা শুনলে রক্ত গরম হয়ে যায়!
আমি নীচে কংগ্রসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-টির একটি বিবরণ রামমনোহর লোহিয়া-র 'Guilty Men of India's Partition' থেকে অনুবাদ করলাম। উনি লিখছেন:
"
এটাই স্বাভাবিক যে ব্রিটিশরা এমনভাবে ভারতবর্ষ ভাগ করতে চাইবে যা তাদের পক্ষে সর্বাধিক লাভজনক হবে, তা সে ভারতের পক্ষে যতই ক্ষতিকর হোক না কেন...যত সময় গড়াবে, এই দেশভাগের কলঙ্ক স্বাধীনতালাভের গর্ব এবং চাকচিক্যকে গ্রাস করে ফেলবে। ঐতিহাসিকরা বিস্মিত হবে যে, কীভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশদের সাথে নির্লজ্জভাবে হাত মিলিয়েছিল...
স্বাধীনতার লড়াইতে ভারতীয় নেতৃত্ব, তাঁদের প্রস্তাব এবং পরিকল্পনায় এক সার্বিক ঔদাসীন্য দেখে অবাক হতে হয়। তারা হঠাৎ হঠাৎ প্রস্তাব পেশ করেন, চুপচাপ বসে মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখেন এবং আশা করেন যে তাঁদের কোনো প্রচেষ্টা ছাড়াই মানুষের মধ্যে সংগ্রামী চেতনা এবং উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়বে....
আমি এপ্রসঙ্গে সেই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং-এর বিস্তৃত বিবরণ দিতে চাই যে মিটিং-এ দেশভাগের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হয়েছিল। সেই মিটিং-এ আমি এবং জয়প্রকাশ নারায়ণ- এই দুজন সোসালিষ্ট নেতাকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল এবং সেই মিটিং-এ আমরা দুজন, মহাত্মা গান্ধী এবং খান আব্দুল গফ্ফার খান ছাড়া আর কেউই দেশভাগের বিরুদ্ধে একটা শব্দ উচ্চারণ করেননি।
মিটিংয়ের দুই দিনই মৌলানা আজাদ ছোট্ট রুমটার এককোনে একটা ছোট্ট চেয়ার-এ চুপচাপ অবিরাম সিগারেট ফুঁকছিলেন. হয়তো উনি খুব ব্যাথা পেয়েছিলেন..কিন্তু উনি মিটিং-এ শুধু প্রবলভাবে নিশ্চুপই থাকেননি, টুকরো হয়ে যাওয়া ভারতের এক দশকের বেশি সময় ধরে শিক্ষা-মন্ত্রক সামলেছেন..উনি নাকি এর আগে মুখোমুখি মিটিং-এ দেশভাগের প্রতিবাদ করেছিলেন, কিন্তু উনি বরাবরই 'opposition' এবং 'service'-এর এক অদ্ভুত ককটেল বজায় রেখে গেছেন। It might be interesting to explore Maulana Azad's conscience, as I sometimes suspect that wisdom and elasticity go together…"
"আচার্য কৃপালানি সেইসময় কংগ্রেস পার্টি-র প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি মিটিং-টিতে নিদ্রালু হয়ে নুয়ে পড়ছিলেন( He sat drowsily and reclined at this meeting)। মাঝে মাঝে মহাত্মা গান্ধী ক্লান্ত প্রেসিডেন্ট-এর নাম নিচ্ছিলেন এবং আমাকে অত্যন্ত বিরক্তির সাথে আচার্যকে ঠেলে জাগাতে হচ্ছিলো...
খান আব্দুল গফ্ফার খান বড়জোর দু-একটি বাক্য বলেছিলেন..তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন যে তার সহকর্মীরা দেশভাগ মেনে নিচ্ছেন। ছোট্ট দয়া হিসেবে তিনি জানতে চাইছিলেন, গণভোট দ্বারা নর্থ-ওয়েস্ট প্রভিন্স-এর (বর্তমানে খাইবার-পাখতুনবা) জনগণদের কাছে ভারত বা পাকিস্তান যোগ দেওয়ার বিকল্প আছে কিনা। আমি নিশ্চিত, উনি পুরো বিষয়টিতে খুব দুঃখ পেয়েছিলেন...
আমি এখানে বিশেষভাবে গান্ধীজির দুটি পয়েন্ট তুলে ধরতে চাই: মিটিংটিতে গান্ধীজি মিস্টার নেহেরু এবং সর্দার প্যাটেলকে মৃদু স্বরে অভিযোগ করলেন, তাঁকে না জানিয়েই এই দুজন দেশভাগের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেছেন। গান্ধীজি আর কিছু বলার আগেই নেহেরু ব্যাতিব্যস্তভাবে ওনাকে চুপ করিয়ে দিয়ে বলেন যে গান্ধীজিকে এই ব্যাপারে সবকিছু janano হয়েছিল। গান্ধীজি বারবার নেহরুর এই দাবি প্রত্যাখ্যান করতে থাকেন। নেহেরু তার পূর্ব-ব্যক্ত দাবি থেকে একটু সরে গিয়ে বলেন, নোয়াখালী অনেক দূরে ছিল এবং এই প্রস্তাব ডিটেলস-এ না জানালেও মোটা মোটা ভাষায় তিনি গান্ধীজিকে এব্যাপারে লিখেছিলেন...স্পষ্টতই নেহেরু এবং সর্দার প্যাটেল দেশভাগের বিষয়টি নিজেদের মধ্যে স্থির করে নিয়েছিলেন এবং গান্ধীজি ভড়কে যাবেন এই ভেবে পুরো কর্মকান্ড সম্পন্ন করার আগে গান্ধীজিকে দেশভাগের বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেছিলেন। এরপর গান্ধীজি ওনার দ্বিতীয় বক্তব্য ব্যক্ত করেন। তিনি বাকি সকলকে কংগ্রেস নেতামণ্ডলীর প্রস্তাবিত দেশভাগের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে বলেন…"
"আমি এপ্রসঙ্গে ১৯৪৬ সালে নোয়াখালীর আশেপাশে কোনো এক স্থানে নেহরুর সাথে আমার একটি ব্যক্তিগত কথোপকথন উল্লেখ করতে চাই। নেহেরু আমায় পূর্ব-বঙ্গে তাঁর দেখা জলাশয়, পাঁক, ঝোপ-ঝাড়, গাছপালা ইত্যাদির কথা বলতে বলতে হঠাৎ করে তাঁর অভিমত জানান যে এই পূর্ব-বাংলা তাঁর চেনা-জানা ভারতবর্ষ নয়। এই যুক্তিতে তিনি প্রবলভাবে পূর্ব-বাংলাকে ভারতবর্ষের মূল ভূখণ্ড থেকে কেটে ফেলতে চেয়েছিলেন (He said that that was not the India he or I knew and wanted with some vehemence to cut East Bengal away from the main land of India)।
"
মানে বুঝুন, নেহেরু-চাচার পূর্ব-বঙ্গ ভালো লাগেনি বলে উনি পুরো দেশটাই ভেঙে ফেললেন!
এরকম মাকাউলি-পুত্রের বর্তমান আদর্শ উদাহরণ হলো: শশী থারুর। ভদ্রলোক দু-বছরে পিএইচডি শেষ করেছেন, UNO তে প্রায় ৩০ বছর কাজ করেছেন. প্রচন্ড ইন্টেলচ্যুয়াল! কিন্তু সেই একই ভদ্রলোক রাহুল গান্ধীর subservient! বস্তুত, মালিকের ক্রীতদাস হয়ে থাকো, মুখের ওপর কথা বোলো না, প্রতিবাদ করা ভুলে যায়..ইহাই Macaulayism!