-অনুলিখন: বিজিৎ প্রশান্থা
কংগ্রেস স্বাধীনতার আগে এবং পরে ব্রিটিশদের সহায়তায় ভারতেরই অভ্যন্তরে একটি ভাসা-ভাসা political state তৈরি করেছিল। এই শয়তানি নেক্সাস কংগ্রেসের অত্যাচারী শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করেছিল এবং ভারতের নেতা-আমলাদের সস্তা জনপ্রিয়তা এবং বৈভবশালী হতে সাহায্য করেছিল। এই কংগ্রেসই স্বাধীনতার পর থেকে মুসলিমদেরকে রাজনৈতিকভাবে একত্রিত করার এবং হিন্দুদের চিরতরে বিভক্ত করার জঘন্য কর্মসূচী শুরু করে, যাতে এই সংখ্যালঘু এলিট বাবু-সমাজ দীর্ঘ সময়ের জন্য সংখ্যাগুরু হিন্দুদের ওপর নির্বিঘ্নে ছড়ি ঘোরাতে পারে। এর জন্য কংগ্রেস, কমিউনিস্ট, এবং ইসলামিস্টরা বেশ কয়েকটি এজেন্ডা বেছে নেয়:
(i) বর্ণ ব্যবস্থাকে Caste সিস্টেম-এ পরিবর্তন করা এবং Caste identity politics প্রবর্তন,
(ii) তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানে সংখ্যালঘু অধিকার প্রবর্তন,
(iii) হিন্দু অনুভূতিকে হেয় করে এমন মিথ্যা ইতিহাস শেখানো এবং জিম্মি হিন্দু তৈরি করা, যারা নিজেদেরই হিন্দু ইতিহাস, হিন্দু ঐতিহ্য, এবং হিন্দু মূল্যবোধকে ঘৃণা করবে।
যেহেতু হিন্দু সমাজের কাছে বরাবরই সাহসী, দৃপ্ত 'হিন্দুত্ব' ন্যারেটিভের অভাব ছিল, তাই কংগ্রেস-বিরোধী পার্টিগুলিও কংগ্রেস-কমিউনিস্টদের এই ফাঁদে পা দেয়। এই বিষয়ে কংগ্রেসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য, জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই 1978 সালে সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করেন। কংগ্রেস স্বাভাবিক কারণেই এর বিরোধিতা করতে এগিয়ে আসেনি। 1986 সালে শাহ বান কেস-এর প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে একরকম খারিজ করে কংগ্রেস দ্বারা মুসলিম মহিলা সুরক্ষা আইনটি পার্লামেন্টে আনা হয়েছিল, যা মুসলিম মহিলা শাহ বানোকে ভরণপোষণের ন্যায্য অধিকার থেকে ওনাকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করে। 1991 সালে সনাতনীদের (হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখদের) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে যুক্ত তাদের উপাসনালয় এবং তীর্থস্থানগুলিকে আইনত দাবি করা থেকে বঞ্চিত করার জন্য উপাসনা-স্থান আইন (Places of Worship Act) চালু করা হয়েছিল, যা সনাতনীদের জবরদখল করা উপাসনাস্থলগুলি আইনিভাবে পুনরুদ্ধার করার সমস্ত উপায়গুলি অঙ্কুরে নষ্ট করে দেয়। এই প্রসঙ্গে বলি, Places of Worship Act আপাতভাবে সংবিধানবিরোধী, তবু এই আইনের কিছু বিধানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দায়ের করা বহু পিআইএল-এর জবাব দেওয়া থেকে তথাকথিত 'হিন্দুত্ববাদী' মোদি সরকার একাধিকবার বিরত থেকেছে!
মৌনভাবে সহ্য করার দিন শেষ। এবার হিন্দুদের রাজনৈতিকভাবে জবাব দেবার পালা। গান্ধীবাদ, মোদীবাদ, সেকুলারবাদ - এসব ছেড়ে কট্টর হিন্দু হোন। কট্টর এবং একনিষ্ঠ হিন্দুত্ববাদী দল একম সনাতন ভারতের সমর্থনে এগিয়ে আসুন।
সর্বে সনাতনে ভবন্তু একাত্মম্।
About us - আমাদের সম্পর্কে জানুন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
সনাতন্ হিন্দু ধর্মে পবিত্র সংখ্যা ১০৮ এত মহাত্মপূর্ণ কেন...???
সনাতন্ বৈদিক হিন্দু ধর্মে, ১০৮ সংখ্যা টি অত্যন্ত পবিত্র সংখ্যা রূপে গণ্য করা হয়। কিন্তু কেন...??? কলমে :- অরিন্দম রায়। আমাদের যো...
-
লিখন: বিজিৎ প্রশান্থা সম্প্রতি এক উঁচুস্তরের দিল্লী মহলের নেতা JNU -এর এক হিন্দুবাদী প্রফেসর আনন্দ রঙ্গনাথনের কাছে নাকি এই অভিমত ব্যক্ত কর...
-
-অনুলিখন: বিজিৎ প্রশান্থা নরেন্দ্র মোদীর মন্দির বিধ্বংস করার রাজনীতির শুরু হয় সম্ভবত ২০০৮ সালে, যখন সড়ক সম্প্রসারণের দোহাই দিয়ে তার সরকার...
-
সনাতন ধর্ম এবং সভ্যতা কত পুরাতন...?? রচনা :- অরিন্দম রায়। "সনাতন বৈদিক ধর্ম ও সভ্যতা মাত্র ৫০০০ বছর পুরাতন হতে....." :- এমনটি ...
No comments:
Post a Comment