Image Credit: Mojo Story
-অনুলিখন: বিজিৎ প্রশান্থা
PPSSC অর্থাৎ পরম-পূজ্য সর-সংঘ চালক মহান ভাগবতের মতো কিছু 'দরকারি', 'দরবারি' গর্দভের মাধ্যমে বিজেপি বেশ কয়েক বছর ধরে সনাতনী হিন্দুত্বকে বিকৃত এবং অপসারণ করে সংঘি হিন্দুত্ব আমদানি করার চেষ্টা করছে। এর মূল লক্ষ্য হলো হিন্দুত্বকে শরিয়া-অনুগত করা, যাতে 'One Nation One Religion'-এর মতো দিবাস্বপ্নবাদী আদর্শ ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠা করা যায়। ভাগবত এপ্রসঙ্গে সম্প্রতি ‘One DNA theory’ নামক আর একটি বায়বীয় তত্ত্বের প্রবর্তন করেন, যার মূল কথা যে, হিন্দু-মুসলিম ঐক্য কেবল মরীচিকা নয় কারণ হিন্দু এবং মুসলিমদের DNA এক। এখানে একটা বিষয় লক্ষণীয় যে, মোদীর 'তৃপ্তিকরণ' রাজনীতির দরুন ভাগবত আশরাফ-মুল্লা-মুফতি সমাজকে ই*সলামিক সাহিত্যে আজ্ঞাপিত জি*হাদি, হিংস্র মতাদর্শ নিয়ে প্রশ্ন করে না, ই*সলামের মূর্তি-ভাঙার 'আধ্যাত্মিক' প্রথা নিয়ে আওয়াজ তুলতে পারে না, মূর্তিপূজকদের প্রতি কো*রানে আদিষ্ট ঘৃণার ঐতিহ্য নিয়ে কথা বলে পারে না, অমানবিক শরিয়া আইন-কানুন নিয়ে তর্ক করতে পারে না। মোহন ভাগবত শুধু হিন্দুদেরই অপ্রয়োজনীয় প্রশ্নে ব্যতিব্যস্ত করতে ওস্তাদ: হিন্দুদের কেন মূর্তিপূজা করা উচিত নয়, হিন্দু সেনাপতি হংস এবং ডিম্বক কি আসলে সমকামী ছিলেন, কেন হিন্দুদের জ্ঞানবাপী এবং বাকি কনভার্টেড মন্দিরগুলি থেকে দাবিদাওয়া ছেড়ে দেওয়া উচিত, ইত্যাদি!
এই চরম 'পবিত্র' One DNA ঐক্যের ঠেলায় বিজেপি যা-কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী মতাদর্শী, - জি*হাদি, কমিউনিস্ট, আজাদী activist, বহুজনবাদী, নব-বুদ্ধিস্ট,আম্বেদকরবাদী, খালিস্তানি - সবাইকেই বাকস্বাধীনতার অধিকার দিতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু নূপুর শর্মা বা টি রাজা সিং যখন ই*সলামিক সাহিত্য থেকেই লাইন উদ্ধৃত করে ই*সলামের সত্য জনসমক্ষে আনেন, তখন এদের মৌলবাদী নেকড়েদের মুখে ছুঁড়ে দিতে বিজেপি বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করে না।
বরং, যখন 'সার তান সে জুদা' হুমকি ছুঁড়ে দেওয়া ধর্মান্ধ জনতা ভারতের রাস্তাগুলিতে ভিড় করেছিল, যখন নূপুর শর্মার কুশপুত্তলিকাকে অপমান করে রাস্তায় পোড়ানো হয়েছিল, যখন বিজেপির নিজস্ব সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্যরা এবং আজমীর দরগার খাদিমরা পরিকল্পনা করে কানহাইয়া লালের গলা কেটে ফেলে (কথিত আছে, আজমিরের একজন খাদিম,- গওহর চিস্তি, আজমীর দরগায় কানহাইয়া লালের খুনিদের একজনের সঙ্গে দেখা করে। গওহর বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নুপুর শর্মাকে 'ব্লাসফেমি' করার অভিযোগে শিরশ্ছেদের ডাক দিয়েছিল), যখন নূপুর শর্মার সমর্থনে এগিয়ে আসার 'অপরাধে' বজরং দলের সদস্য হর্ষ হিন্দুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছিল- তখন 'হিন্দু-হৃদয়-সম্রাট' মোদি নীরবতাই বেছে নিয়েছিলেন.. বরং তিনি আজমীর দরগায় চাদর পাঠিয়ে ধর্মান্ধ খাদিমদের এই 'সাহসী' কর্মকাণ্ড সানন্দে উদযাপন করেছিলেন।
যখন ধর্মান্তরণের নোংরা উদ্দেশ্য নিয়ে দরগার 'চাদর' এবং গীর্জার 'ফাদার' ভারতের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে, এবং Covid-এর করাল গ্রাসে ইতিমধ্যেই বিধ্বস্ত গ্রামীণ রাজনীতির সুযোগ নিয়ে মৌলবী আর খ্রীষ্টান যাজকরা বিদেশী ফান্ডিং-এর জোরে গ্রামের সিধেসাধা হিন্দুদের সবার প্রকাশ্যে ধর্মান্তরিত করছে, এবং অপ্রয়োজনীয় বর্ণবিদ্বেষ, হিংসা, অস্থিরতা ও অশান্তির অন্ধকার গর্ভে ভারতীয় গ্রামীণ সমাজকে ঠেলে দিচ্ছে - তখন মোদী এবং বিজেপি এই সমস্ত বিষয়েই অদ্ভুতভাবে নীরব। এমনকি ধর্মান্তরণ রেকেট-এর বিরুদ্ধে সাহস নিয়ে লড়াই করে নিহত বিজেপি কর্মীদের থেকেও বিজেপি হাইকমান্ড নিজেদের নিষ্ঠুরভাবে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে। হিন্দুদের সাথে এরকম বিমাতৃসুলভ আচরণ বিজেপির শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের নজর এড়াচ্ছে না।
এমন দুর্বিষহ বঞ্চনা আর আঘাতের বিরুদ্ধে এক হোন। আর কট্টর, একনিষ্ঠ সনাতনী দল *একম সনাতন ভারত* দলে যোগ দিন। কারণ মোদী-র কটাক্ষ 'বিজেপি-র বিকল্প কী'-র একমাত্র জবাব: *একম সনাতন ভারত*।
সর্বে সনাতনে ভবন্তু একাত্মম্।
About us - আমাদের সম্পর্কে জানুন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
সনাতন্ হিন্দু ধর্মে পবিত্র সংখ্যা ১০৮ এত মহাত্মপূর্ণ কেন...???
সনাতন্ বৈদিক হিন্দু ধর্মে, ১০৮ সংখ্যা টি অত্যন্ত পবিত্র সংখ্যা রূপে গণ্য করা হয়। কিন্তু কেন...??? কলমে :- অরিন্দম রায়। আমাদের যো...
-
লিখন: বিজিৎ প্রশান্থা সম্প্রতি এক উঁচুস্তরের দিল্লী মহলের নেতা JNU -এর এক হিন্দুবাদী প্রফেসর আনন্দ রঙ্গনাথনের কাছে নাকি এই অভিমত ব্যক্ত কর...
-
-অনুলিখন: বিজিৎ প্রশান্থা নরেন্দ্র মোদীর মন্দির বিধ্বংস করার রাজনীতির শুরু হয় সম্ভবত ২০০৮ সালে, যখন সড়ক সম্প্রসারণের দোহাই দিয়ে তার সরকার...
-
সনাতন ধর্ম এবং সভ্যতা কত পুরাতন...?? রচনা :- অরিন্দম রায়। "সনাতন বৈদিক ধর্ম ও সভ্যতা মাত্র ৫০০০ বছর পুরাতন হতে....." :- এমনটি ...
No comments:
Post a Comment