।। জয় শ্রী কৃষ্ণ ।।
নমস্কার বন্ধুরা, পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম নিয়ে শুরু করলাম আমাদের পথ চলা ।
আমরা একম সনাতন ভারত দল । সনাতনী হিন্দুদের জন্য একমাত্র রাজনৈতিক বিকল্প ।
আমরা এখানে সংক্ষিপ্ত রূপে আমাদের ব্যাপারে আপনাদের অবহিত করার চেষ্টা করছি । আমরা আলোচনা করবো যে কেন আমাদের আত্মপ্রকাশ করতে হল ? আমাদের লক্ষ কি ? এবং সনাতনী হিন্দু সমাজের জন্য আমাদের সপ্ত সংকল্পের ব্যাপারে । আশা করি আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসা পাবো।
আমরা পথ চলা শুরু করেছিলাম একজুট জম্মু নামের সাথে । ন্যায়িক অধিবক্তা শ্রী অঙ্কুর শর্মার হাত দিয়ে শুরু হয়েছিল আমাদের পথ চলা । তারপর অনেক লড়াই ও চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমরা এখন একম সনাতন ভারত রূপে আত্মপ্রকাশ করেছি । আমরা সাথে পেয়েছে পত্রকার শ্রী সন্দীপ দেও জী কে । এছাড়াও আরো অনেক গণ্যমান্য , সনাতন নিবেদিত জনেদের আমরা সাথে পেয়েছি ।
সনাতনী হিন্দু সমাজ সর্বদাই ভারতের সরকারগুলির থেকে , ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির থেকে সৎ ছেলের মতো ব্যবহার পেয়ে এসেছে । তা সে সামাজিক ক্ষেত্রেই হোক বা রাজনৈতিক কিংবা অর্থনৈতিক । সনাতনী হিন্দু সমাজ বরাবরই বঞ্চনা,অত্যাচার,উৎপীড়ণ ,গণহত্যা,গণপলায়নের শিকার হয়ে এসেছে ।কিন্তু এখন আর নয় । আমরা সনাতন ভিত্তিক রাজনীতি করতে এসেছি । আমাদের আশু লক্ষ্য হলো ভারতে সনাতনী সমাজের উৎকর্ষতা প্রদান করা । আর আমরা সনাতনী হিন্দু সমাজের জন্য আমাদের সপ্ত সংকল্প নিয়ে এসেছি । এখন তা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি ।
প্রথম সংকল্প : একম্ সনাতন্ ভারত্ দলের সর্বপ্রধান অঙ্গীকার হলো ভারতীয় সংবিধানের পরিপূর্ণ সংশোধন এবং গণতান্ত্রিক হিন্দু রাষ্ট্রের সূচনা। এর সাথে সাথে সাংবিধানিক ভাবে দেশের সনাতন সংখ্যা গরিষ্ঠদের প্রথম শ্রেণীর নাগরিকত্ব প্রদান। হিন্দু গণহত্যা এবং ভারতবর্ষের প্রতিটি রাজ্যে এলাকা ভিত্তিক জনসংখ্যাগত পরিবর্তন করে হিন্দুদের ক্রমাগত দুর্বল করার অপপ্রয়াস কে পরিপূর্ণ প্রতিরোধ। (ল্যান্ড জিহাদ এবং অন্যান্য উপায়ে যা প্রতিনিয়ত সংগঠিত হয়ে চলেছে) এই জাতীয় জঘন্য চক্রান্ত ও অপপ্রয়াস কে একটি উপযুক্ত আইনের মাধ্যমে দেশদ্রোহীতা মূলক অপরাধ হিসাবে ঘোষণা করা এবং যা শাস্তি যোগ্য মৃত্যুদণ্ড মূলক অপরাধ রূপে পরিগণিত হবে।
দ্বিতীয় সংকল্প : রাষ্ট্রসেঙ্ঘর নিয়ম অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার 5% এর কম একটি ধর্মীয়/ভাষাগত জনগোষ্ঠী গুলিকেই একমাত্র "সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে" রূপে মান্যতা প্রদান করবার জন্য সংবিধান সংশোধন করা। ভারতবর্ষে কে বিশ্ব-সনাতনীদের জন্য "প্রাকৃতিক হোমল্যান্ড" হিসাবে ঘোষণা করা এবং তাদের জন্য পূর্ণ নাগরিকত্বের অধিকার কে বলবৎ করা।
তৃতীয় সংকল্প : মন্দিরে ঈশ্বরের কর্তৃত্বই সর্বোচ্চ - এটির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। হিন্দু মন্দির/মঠের উপর থেকে রাজ্য/সরকারি নিয়ন্ত্রণ শেষ করা। কাশ্মীরের প্রাচীন সূর্য মন্দির "মার্তান্ড মন্দির" এর অবিলম্বে পুনর্গঠন এবং পুনঃপ্রতিষ্ঠা; মথুরায় "শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি" এবং কাশীতে (বারানসী) জ্ঞানব্যাপী তীর্থক্ষেত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
ষষ্ঠ সংকল্প : অবিলম্বে ওয়াকফ আইন, উপাসনার স্থান আইন 1991 এবং সাচ্চার কমিটির সুপারিশগুলির অবিলম্বে বাতিল এবং সমাপ্তি। ভারতের সংবিধানের 30 নং অনুচ্ছেদের সংশোধন করে হিন্দুদের তাদের গুরুকুল শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বায়ত্তশাসিতভাবে তা পরিচালনা করবার পূর্ণ অধিকার প্রদান করা। ভারতবর্ষের সংবিধানে বিরাজমান, সনাতন সংস্কৃতি ও সভ্যতার ক্ষতি করে এমন নিবন্ধ, আইন ও ধারা গুলির পর্যালোচনা করে সেই গুলির নিরস্ত্রীকরণ করা। "লাভ জিহাদ" ও "ধর্মান্তরকরণ" কে সম্পূর্ণ রূপে কঠিন দণ্ডনীয় অপরাধ রূপে গণ্য করে, পরিপূর্ণ নিষেধাজ্ঞাকে কার্যকর করা।
সপ্তম সংকল্প : শুধু উন্নয়ন নয়, সত্য এবং বাস্তবিক ইতিহাসের সুদৃঢ় 6 টি বলিষ্ঠ স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে সামগ্রিক উন্নয়ন। স্থানীয় ভাষা, ইতিহাস, সংস্কৃতি, স্থানীয় জীবনচর্যা, আধ্যাত্মিকতা এবং পরিবেশ সম্পর্কিত সচেতনতা নিয়ে পরিপূর্ণ বিকাশ! ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঐতিহ্যগত কাঠামোকে বজায় রাখা এবং সেনা ও পুলিশকে ক্ষমতায়ন ও আধুনিকীকরণের সময় সৈনিক, প্রাক্তন সৈনিক এবং তাদের পরিবারকে যথাযথ সম্মান দেওয়া।
এখন আপনারা নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন যে আমাদের কি উদ্যেশ্য ? আপনাদের সেবায় এসে গিয়েছে একম সনাতন ভারত । আমরা সনাতন হিন্দু ধর্ম , সনাতন সমাজ ও সংস্কৃতির প্রতি দায়বদ্ধ । তাই দোলে দোলে একম সনাতন ভারতের সাথে যোগ দিন ।
একমের সাথে , সত্য সনাতন ভারতের পথে ।
No comments:
Post a Comment