Thursday, September 28, 2023

☆ধর্ম vs মজহব্ বা Religion এবং সনাতন হিন্দু ধর্মের চূড়ান্ত স্বাধীনতা☆

☆ধর্ম vs মজহব্ বা Religion এবং সনাতন হিন্দু ধর্মের চূড়ান্ত স্বাধীনতা☆  

রচনা :-
অরিন্দম রায়।

ভারতবর্ষের বেশিরভাগ মানুষই জানেন না যে "ধর্ম" শব্দটির কোনও ইংরেজী অনুবাদ নেই বা, হয় না।

ভারত বা বিদেশের লোকেরা ধর্মের অর্থ করতে গিয়ে ইংরাজীতে যা বোঝায়, তা হলো: - "Religion"(রিলিজিয়ন)।
এরা কোনোটাই কোনো ভাবেই এক নয়। যে কোনও রিলিজিয়ন এর অবশ্যই কোনও প্রতিষ্ঠাতা বা "নবী" থাকতে হবে।

তাই বৈদিক সনাতন হিন্দু ধর্ম ছাড়া আর বাকি সমস্ত গুলিই হলো "মজহব্" বা "সম্প্রদায়" বা "রিলিজিয়ন"। ইংরেজিতে ধর্ম শব্দের কোন ট্রানসলেশন খুঁজে পাবেন না। "রিলিজিয়ান" শব্দটির মানে হল "সম্প্রদায়"। যাকে হিন্দিতে বলা হয় "মজহব্"।

"সম্প্রদায়" বা "মজহব্" এর কেউ-না-কেউ স্রষ্টা আছে যা তাকে বানিয়েছে বা সৃষ্টি করেছে। যেমন ইসলামের ক্ষেত্রে হজরত মুহাম্মদ, খ্রিস্টানদের ক্ষেত্রে যীশু খ্রীষ্ট, যুথীষ্টীয়ান দের ক্ষেত্রে আব্রাহাম, বৌদ্ধদের ক্ষেত্রে গৌতম বুদ্ধ, জৈন ধর্মের ক্ষেত্রে মহাবীর তীর্থঙ্কর, শিখদের ক্ষেত্রে গুরু নানক....
কিন্তু সনাতন হিন্দু ধর্মের কোনো স্রষ্টা পাবেন না। সনাতন কথার মানে হল যা "চিরকালীন" বা, "যা চিরন্তন" যাকে English এতে বলা হয় Eternal. অর্থাৎ এর কোন স্রষ্টা নেই। হিন্দু ধর্মের কোনো স্রষ্টা হয় না।
তাই বলতে গেলে বলতে হয়, যে সমগ্র পৃথিবীতে ধর্ম শুধুমাত্র একটিই,
আর তার নাম হল "সনাতন হিন্দু ধর্ম"। যা, 197 কোটি  বছর বা English  এতে বলতে গেলে বলতে হবে 197 Billion years Old. হিন্দু  দের সর্ব প্রাচীন ক্যালেন্ডার হলো ব্রক্ষ ক্যালেন্ডার এই, ব্রক্ষ সম্বৎ বা ব্রক্ষ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী হিন্দু দের এখন 197 কোটি বছর চলছে।

আপনি কি জানেন...???

সনাতন ধর্ম যা,

ব্রক্ষ সম্বাদ" মানে "ব্রক্ষ ক্যালেন্ডার" অনুযায়ী,

197 বিলিয়ন বছরের পুরাতন।

আজ এটা প্রমাণিত হয়েছে অত্যন্ত কিছু দুরূহ গাণিতিক সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে।

একদম সঠিক তারিখ যদি বলি:-


এখন আমাদের সনাতনী জনগণের জন্য,   এখন "এক শো ছিয়ানব্বই কোটি, আট লক্ষ, তিপান্ন হাজার, এক শো তেইশ বছর" চলছে। 


বর্তমানে, ব্রহ্মার 50 বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। আমরা বর্তমানে 51 তম বছরের প্রথম 'দিনে' দাঁড়িয়ে আছি..


আর এটাও কি জানেন আপনি...??

বেদের উৎপত্তি কবে?

এর উত্তর হলো, প্রায় ১ বিলিয়ন বছর আগে। সঠিক করে বললে বলতে হয়, ৯৬ কোটি ৮ লক্ষ ৫৩ হাজার ১২৩ বছর আগে।

মানব সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে হিন্দু ধর্মের উৎপত্তি। যার জন্যে একে সনাতন অথাৎ "চিরন্তন" বা Eternal বলা হয়।  

এর স্রষ্টা, "বিশ্ব প্রকৃতি" নিজে।
কিন্তু "রিলিজিয়ান" বা, "সম্প্রদায়" যিনি বা যাঁরা বানিয়েছেন তাঁরা তাদের নিজস্ব বিশ্বাসকে বা মতামতকে অন্যের ওপর তুলে দিয়েছেন বা বলতে গেলে মগজ ধোলাই করেছেন, বা সেটা তাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ধর্ম যা, তা কখনো কোনো ব্যক্তি-মানুষের  মতামত বা বিশ্বাস এর উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে থাকে না।
ধর্ম প্রকৃতির থেকে আপনা আপনি সৃষ্টি হয়েছে। এর পিছনে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি-মানুষের হাত নেই।
অন্য ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় মানুষ যে দিন থেকে সভ্য হতে শুরু করেছে, সেদিন থেকে মানুষের মধ্যে যে শুভবুদ্ধির উন্মেষ হতে শুরু করে, তার থেকেই সৃষ্টি হয় ধর্মের। এই জন্যই ধর্মের কখনো কোনো স্রষ্টা হয় না বা হতেই পারে না।
আরো পরিষ্কার করে বলতে গেলে বলতে হয় এই যে "আগুনের" কোন রিলিজিয়ান হয় না। যা হয় তা হল ধর্ম। জলের কোন রিলিজিয়ান হয় না। যা হয় তা হল ধর্ম। বরফের কোন রিলিজিয়ান হয় না। যা হয় তা হল ধর্ম। অর্থাৎ আগুনের ধর্ম হল পোড়ানো। বরফের ধর্ম হল শীতলতা প্রদান করা, জলের ধর্ম হল বয়ে যাওয়া। ঠিক তেমনই সূর্য, চন্দ্রের কোনো রিলিজিয়ন হয় না। যা হয় তা হল ধর্ম। ঠিক একই ভাবে ইলেকট্রন, নিউটন, প্রোটন এর কোনো রিলিজিয়ন হয় না, যা হয় তা হলো ধর্ম। ইলেকট্রিক বা বিদ্যুতের কোনো রিলিজিয়ন হয় না, যা হয় তা হল ধর্ম। এই একই ভাবে একটি বাঘের, কুমিরের, পাখির কোনো রিলিজিয়ন হয় না, যা হয় তা ধর্ম।
আর এই সবই বা, সবাই বিশ্ব প্রকৃতির শিক্ষায় আপন আপন কর্মকে পালন করে চলেছে আর সেটাই তাদের ধর্ম।
ভারতবর্ষের সনাতন হিন্দু ধর্ম" ঠিক একই ভাবে মানুষকে "প্রকৃত মানুষ" হতে শেখায়।

তাই জানবেন, সমগ্র পৃথিবীতে ধর্ম হলো শুধুমাত্র একটিই, আর বাকি সমস্ত যা কিছু আছে তা হলো "সম্প্রদায়" বা, "মজহব্" বা "রিলিজিয়ন"।

হিন্দু ধর্ম বা, হিন্দুইজম এর প্রধান যে বক্তব্য বা দর্শন তা হল একজন মনুষ্য চেহারা ধারী একজন মানব নামক প্রাণীকে প্রকৃত মানুষ হতে শেখায়। বায়োলজির ভাষায় "হিউম্যান ইজ দ্য সোশ্যাল এনিমেল্" অথাৎ এই সোশ্যাল এনিমেল বা সামাজিক পশুর থেকে প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে শেখায় হিন্দু ধর্ম, বা হিন্দুজিম।
যার চূড়ান্ত বর্ণনা আমারা দেখতে পাই শ্রী অরবিন্দের লেখা "লাইফ ডিভাইন" গ্রন্থে বা বাংলায় অনুবাদিত "দিব্যজীবন" গ্রন্থে।

তাই, একমাত্র সমগ্র বিশ্বের মধ্যে একমাত্র সনাতন হিন্দু ধর্ম তার অনুগামী এই শিক্ষাই দেয় বলুন :- "অহম  ব্রক্ষাষ্মি"। আমিই ঈশ্বর, আমিই ব্রক্ষ। এযে একটি বৃহত্তর মোমবাতি বা ক্যান্ডেল থেকে কোটি কোটি  মোমবাতি জ্বলে ওঠা। তাই সনাতন হিন্দু ধর্ম মানুষ নামক সামাজিক প্রাণীটিকে  প্রকৃত মানুষ হতে শেখায়। যার ফলে সে তার শুভ কর্ম ফলের কারনে দেহ ত্যাগের পর তার নিজস্ব জীবাত্মা পারে সেই বিশ্বআত্মা বা বৃহত্তর মোমবাতি অসীম অনন্ত রশ্মির মধ্যে চির বিলীন হয়ে যেতে। এই কারনে সনাতন ধর্ম কর্মবাদকে বিশেষ ভাবে মান্যতা দেয়।

আমাদের শুভ কর্মই আমাদের ধীরে ধীরে জীবাত্মা স্তর থেকে বিশ্বআত্মার সঙ্গে চির বিলীন হয়ে যাবার পথে উন্নীত করে তোলে। তখন জীবাত্মা মধ্যে দিব্যজীবনের পথ চলা শুরু হয়ে যায়। এই শুভ কর্মের মাধ্যমে দিব্যজীবনের সিঁড়ি বেয়ে তার আপন জীবাত্মাকে উঠিয়ে নিয়ে যায় "অহম ব্রহ্মাস্মী" বলার লক্ষে। 

আমাদের এই একমাত্র সনাতন হিন্দু ধর্মের মধ্যেই পরিলিক্ষত হয় চরমতম স্বাধীনতা। যা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ, অসাধারণ, অকল্পনীয় স্বাধীনতা। আর সেই পূর্ণ স্বাধীনতাকে নিয়েই সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন হিন্দু ধর্মাবলম্বীর জনগোষ্ঠী বা মানুষেরা, সনাতন বৈদিক হিন্দু ধর্মকে হৃদয়ের থেকে পালন করে চলেছেন.....।


এক কথায় "ধর্ম" হলো আপনার অভ্যন্তরীণ "আমি"কে শুদ্ধ করার একটি প্রযুক্তি বা টেকনিক। এটি সমগ্র মানবজাতিকে শিক্ষা দেয় "কীভাবে একজন বিশুদ্ধ, খাঁটি মানুষ হয়ে উঠবেন" এর অর্থ সংস্কৃত ভাষায় বলা হয়, "মনুর ভব" যার অর্থ "একজন বিশুদ্ধ মানুষ হন"।

সুতরাং ধর্মের Translation করতে গেলে লিখতে হবে "DHARMA" কিন্তু তা বলে ☆Religion কোনো ভাবেই নয়.....।☆

সনাতন বৈদিক হিন্দু ধর্মের সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়ে আমি এখানে প্রমান করবো, সনাতন বৈদিক হিন্দু ধর্ম কি ভীষণ ভাবে উদার এবং সাধারণ কোনো মজহব্ বা Religion এর থেকে সম্পূর্ণ ভাবেই স্বাতন্ত্র্য এবং পৃথক।

1) ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস করেন, - অথাৎ আপনি "আস্তিক" :- আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

2) ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেন না..? - কোনো অসুবিধা নেই অথাৎ আপনি একজন "নাস্তিক"। তবুও আপনি এক জন হিন্দু :- আপনাকে আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

3) আপনি প্রতিমা পূজা করতে চান ? - এগিয়ে আসুন। অথাৎ, আপনি একজন "মুর্তি পুজক" :- আপনিও আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

4) আপনি প্রতিমা পূজা করতে চান না ?- কোন সমস্যা নেই। আপনি "নির্গুণ ব্রহ্ম" এতে মনোনিবেশ করতে পারেন: - আকারহীন, নিরাকার, অসীম, অনন্ত "ব্রহ্ম", যার না শুরু আছে, না শেষ আছে। সনাতন ধর্ম এর ভাষায় ব্যাখ্যা হলো :- "নির্বিকল্প ব্রহ্ম" :- অতএব আপনাকেও আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

5) আপনি আমাদের ধর্মের বিষয়ে সমালোচনা করতে চান ? এগিয়ে আসুন, আমাদের কাছে যুক্তিযুক্ত নানাবিধ দর্শন আছে, যেমন "সাংখ্যা", "ন্যায়", "তর্ক, "মীমাংশা", "চার্বাক", ইত্যাদি :- এর পরেও আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

6) আপনি বিশ্বাস হিসাবে শুধু মাত্র নিজের ওপরেই আস্থা রাখতে চান, আর অন্য কোনো কিছুকেই মানে না বা বিশ্বাস করেন না...? কোনো অসুবিধা নেই। তবুও আপনি হিন্দু :- আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

7) আপনি "ভগবদ গীতা" পড়ে আপনার যাত্রা শুরু করতে চান ? অবশ্যই করুন :- আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

8) আপনি "বেদ এবং  উপনিষদ" পড়ে আপনার যাত্রা শুরু করতে চান - এগিয়ে আসুন :- আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

9) আপনি "পুরাণ" পড়ে আপনার যাত্রা শুরু করতে চান, ঠিক আছে :- আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

10) আপনি কেবল "বেদ", "বেদান্ত" (অথাৎ "উপনিষদ") "পুরাণ" বা অন্যান্য বই পড়া পছন্দ করেন না...?
কোন সমস্যা নেই বন্ধু, "ভক্তি" মার্গের পথিক হয়ে পথ চলা শুরু করুন :- আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

11) আপনি "ভক্তি"র ধারণা পছন্দ করেন না ...?  কোনো
সমস্যা নেই....।
আপনার কেবল নিজের "কর্ম" এবং কর্তব্য পালন করুন।
(মানে, ওয়ার্ক অ্যান্ড ডিউটি)।
একজন "কর্মযোগী" হয়ে যান :-  তাতেও আপনাকে আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

12) আপনি জীবনকে চরম ভাবে উপভোগ করতে চান...? খুব ভালো কথা।
মোটেই কোন সমস্যা নেই.....
এটি আমাদের ভাষায় "চার্বাক দর্শন" :- অতএব আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

13) আপনি জীবনের সমস্ত উপভোগ থেকে বিরত থেকে কেবল ঈশ্বরের সন্ধান করতে চান ? - চলে আসুন ..! একজন "সন্ন্যাসী" হয়ে জীবন কাটান। যার অর্থ একজন
"তপর্স্বীক" :- আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

14) আপনি ঈশ্বরের ধারণা  মোটেই পছন্দ করেন না। আপনি কেবল প্রকৃতিতে বিশ্বাস করেন। মোস্ট ওয়েলকাম।
(গাছগুলি আমাদের বন্ধু, নদী আমাদের মাতা, পাথর আমাদের কাছে ভগবান, অথাৎ সমগ্র "প্রকৃতি" কেই আমরা উপাসনার করি) :- আপনিও আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

15) আপনি এক ঈশ্বর বা সর্বোচ্চ শক্তিতে বিশ্বাস করেন। দুর্দান্ত ....!
আমাদের "আদিত্য" দর্শনকে অনুসরণ করুন :- আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

16) আপনি "গুরু" বা গাইড/ পরামর্শদাতা চান না। চলে আসুন। কেবল জ্ঞান (জ্ঞান) অর্জন করুন। এটিকে আমরা "জ্ঞান যোগ" নামে অভিহিত করি :- আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

17) আপনার জ্ঞান চর্চা ভালো লাগে না...?
নিজেকে নিজেই সাহায্য করুন ...!
মেডিটেশন বা যোগ করা শুরু করুন...!
(এটি আমাদের জ্ঞান যোগের অধীন) :- আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

18) আপনি শুধুমাত্র নারী  অথাৎ মাতৃ শক্তিকে বিশ্বাস করেন ...! দুর্দান্ত,
এটিকে আমরা "আদ্যা-শক্তি" বলি (অর্থ মাতৃকা শক্তি) তাঁর উপাসনা করুন :- আপনিও আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

19) আপনি বিশ্বাস করেন যে প্রতিটি মানুষ সমান। হ্যাঁ,
আপনি দুর্দান্ত একটি কথা বল্লেন, আসুন, আজই শুরু করুন .... 
আমরা "বসুধাব্ই কুটুম্বাকাম" এই দুটি সংস্কৃত শব্দে বিশ্বাসী (যার অর্থ হলো সমগ্র বিশ্বই হলো একটি পরিবার) :- অতএব আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

20) আপনার উৎসব উদযাপন করার সময় নেই।
চিন্তা করবেন না। আরও একটি উৎসব আসছে ...!
বছরের প্রতিটি দিনেই সারা ভারতবর্ষ জুড়ে প্রতিদিনই কোনো নানা কোনো উৎসব থাকে :- আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

21) আপনি একজন শ্রমজীবী ​​ব্যক্তি। ধর্মের জন্য কোনো সময় নেই। ঠিক আছে, তবুও আপনি একজন "হিন্দু" হয়েই থাকবেন :- আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

22) আপনি মন্দিরে যেতে পছন্দ করেন। ঠিক আছে কোনো সমস্যা নেই, এগিয়ে আসুন......
এর জন্যেই ভক্তি এবং প্রেমের মার্গ আছে :- আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

23) আপনি জানেন যে আমাদের হিন্দু ধর্ম "সনাতন" অথাৎ চিরন্তন। "বৈদিক"এই শব্দটি এসেছে : - "বেদ" যা মূলত চারটি পবিত্র পুস্তক বিভিন্ন অজানা ৠষির দ্বারা রচিত হয়েছে আগেই বলেছি, যা কমপক্ষে প্রায় ১ বিলিয়ন বছর আগে। সঠিক করে বললে বলতে হয়, ৯৬ কোটি ৮ লক্ষ ৫৩ হাজার ১২৩ বছর আগে। 
"বৈদিক" অর্থ জীবনের একটি উপায়, এবং অবশ্যই তা চূড়ান্ত এবং চরম স্বাধীনতা সহ।

আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

25) আপনি বিশ্বাস করেন যে সবকিছুতেই ঈশ্বর রয়েছেন।
সুতরাং আপনি আপনার মাতা, পিতা, গুরু, বৃক্ষ, নদী, পৃথিবী, অথাৎ  মহাবিশ্বের উপাসনা করেন, যে কোনও ধরণের উপাদানকেই সামনে রেখে ....!

আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

26) এবং যদি আপনি বিশ্বাস না করেন, যে সব কিছুতেই ঈশ্বর  রয়েছে :- কোনও সমস্যা নেই। আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকেও আমরা সম্মান করি। তবুও আপনি "হিন্দু।"  তাই :- আপনি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মে স্বাগত।

27) "সর্ব জন সুখিনো ভাবন্তু" (পৃথিবীর সমস্ত ব্যক্তি সকলেই সুখে বাঁচুক)

আমরা হিন্দুরা এরই প্রতিনিধিত্ব করছি ....! আপনি নিজের উপায়, নিজের পথ কে বেছে নিতে সর্বদা স্বাধীন সম্পূর্ণ এবং মুক্ত......!!!

এটিই হলো হিন্দু ধর্ম বা সনাতন বৈদিক ধর্ম। এটাই এর সবথেকে বড়ো সৌন্দর্য........!!!
🙏🙏🙏
🕉🕉🕉
🚩🚩🚩

No comments:

Post a Comment

সনাতন্ হিন্দু ধর্মে পবিত্র সংখ্যা ১০৮ এত মহাত্মপূর্ণ কেন...???

সনাতন্ বৈদিক হিন্দু ধর্মে, ১০৮ সংখ্যা টি অত্যন্ত পবিত্র সংখ্যা রূপে গণ্য করা হয়। কিন্তু কেন...??? কলমে :- অরিন্দম রায়। আমাদের যো...